এবার নেপালের সঙ্গে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারের আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সাধারণ অধিবেশনের সাইডলাইন বৈঠকে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির সঙ্গে দেখা করার সময় প্রধান উপদেষ্টা এ আহ্বান জানান।
এদিকে আলোচনায় দুই দক্ষিণ এশীয় দেশের মধ্যে জ্বালানি সহযোগিতা, বাণিজ্য এবং জনগণের মধ্যে পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ার বিষয়গুলো বিশেষভাবে উঠে এসেছে। অধ্যাপক ইউনূস দুই দেশের মধ্যে জ্বালানি ও বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে বলেন, নেপাল বিপুল পরিমাণ নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে সমৃদ্ধ।
বাংলাদেশ আগামী মাসে নেপালের সঙ্গে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি স্বাক্ষর করবে বলে আশা করা হচ্ছে। বৈঠকে নেপালের প্রতিনিধিরা বলেছেন, দেশটি কয়েক বছরের মধ্যে আরও বেশি বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে সক্ষম হবে।
এদিকে শক্তি ও বিদ্যুৎ উপদেষ্টা ফৌজুল কবির খান এবং সিনিয়র সচিব ও এসডিজি বিষয়ক সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদও বৈঠকে অংশ নেন। এ বৈঠক বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে, যেখানে বাংলাদেশ ও নেপাল একত্রে অর্থনৈতিক সম্পর্ক এবং আঞ্চলিক উন্নয়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, অধ্যাপক ইউনূস ও কে পি শর্মা ওলির মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ বৈঠক হয়েছে। তিনি বলেন, বৈঠকে তারা ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে জ্বালানি ও বাণিজ্য সহযোগিতা কিভাবে বাড়ানো যায় সে বিষয়ে আলোচনা করেন।
প্রেস সচিব বলেন, নেপালের জলবিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত রয়েছে এবং তারা দুই-তিন বছরের মধ্যে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে জলবিদ্যুৎ রপ্তানিতে সক্ষম হবে। বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি দীর্ঘ ও গভীর সম্পর্ক রয়েছে এবং দুই প্রতিবেশী দেশের জনগণের মধ্যে পারষ্পরিক সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর